অতীতের স্মৃতি আমাদের জীবনে এমন কিছু মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা দিয়ে যায় যা বর্তমানকে সমৃদ্ধ করে এবং ভবিষ্যৎকে সুন্দর ও অর্থবহ করে তোলে। অতীতের সেই মুহূর্তগুলো, ভালো বা মন্দ, আমাদের জীবনের গল্পে গভীরতা ও অনুপ্রেরণা যোগায়, যা আমাদের জীবনযাত্রায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দেয়।

অতীত শুধু এক সামান্য শব্দ নয় । অতীত বহন করে আমাদেরই এক মধুর পরিচয় যা সময়ের সাথে, বর্তমানের চাপে আর ভবিষ্যতের চিন্তায় কোথাও যেন তলিয়ে গেছে । যখন অতীতের দিকে ফিরে তাকাই, তখন দেখতে পাই আমাদের জীবনের ফেলে আসা সেই সোনালি সময়গুলো, সেসব মধুর স্মৃতি যা আমাদের আজকের “আমি” হওয়ার পথে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে।

আমাদের জীবনে এই অতীত বহন করে সেই পরিচয় যা আমাদের অস্তিত্বের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পরিচয়ে থাকে আমাদের শৈশবের হাসি-আনন্দ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, সম্পর্কের মধুরতা, এবং কখনো-কখনো বেদনাময় কিছু অভিজ্ঞতা। এই স্মৃতিগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা কেমন ছিলাম এবং কীভাবে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে চলতে চলতে আমরা গড়ে উঠেছি আজকের “আমি” তে।

অনেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করে ফিরে যেতে সেই অতীতে, অন্তত কিছু সময়ের জন্য যেখানে তারা আরেকবার নিজেকে নিজের মতো করে ফিরে পাবে। কেউ পারে, কেউ পারে না আর কেউ চেষ্টা করে না। কিন্তু সেই অতীতের স্মৃতিগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরা না থাকলে আমাদের জীবনের ভিত্তিটাই যেন একটু নড়বড়ে হয়ে যায়। আমাদের অতীতের সেই মুহূর্তগুলোই আমাদের আনন্দের উৎস ছিল, যা আজকের দায়িত্বপূর্ণ জীবনেও মাঝে মাঝে আমাদের সান্ত্বনা দিতে পারে।

গত দুদিনের রিইউনিয়ন ছিল আমাদের সেই পঁচিশ বছর আগের দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এই দুই দিনে আমরা সবাই একে অপরের মধ্যে সেই পুরনো বন্ধুদেরই খুঁজে পেয়েছি, যাদের সঙ্গে আমাদের কৈশোরের দিনগুলো কেটেছে আনন্দ, উৎফুল্লতা আর বেপরোয়া জীবনে।

পঁচিশ বছর আগের সেই দিনগুলো ছিল আমাদের জীবনের সোনালি অধ্যায়। সে সময় আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল সহজ, জীবন ছিল সরল আর মুক্ত। আমরা একে অপরের সঙ্গ পেতাম, ছোটখাটো বিষয়ে অট্টহাসিতে মেতে উঠতাম, ক্লাস বাঙ্ক করতাম, আর নিজেরা নিজেদের জীবনকে নিজেদেরই ভাবনার রঙে রাঙিয়ে তুলতাম। আমাদের সেই সময়ে পৃথিবীটা ছিল খুব ছোট, আর সেই পৃথিবীর মাঝেই ছিল আমাদের বন্ধুত্ব, আনন্দ, এবং একে অপরের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা।

এই রিইউনিয়নের মাধ্যমে সেই ছোট্ট, সরল সময়ের ঝলক আবার ফিরে এসেছে। আমাদের হাসি, আমাদের আনন্দ আর উচ্ছ্বাস দেখে মনে হলো যেন সময় যেন সত্যিই থমকে দাড়িয়েছে।

**********

Hope You Liked The Post ?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 3

No votes so far! Be the first to rate this post.

We are sorry that this post was not useful for you!

Let us improve this post!

Tell us how we can improve this post?

By tripotomaniac

Born at Lumding, a town in Assam, Anirban spent his childhood enjoying the whispering sounds of the woods and trees, cherishing the flora and fauna in places like Dwarband, Masimpur, Burlongfur, Mandardisa. Anirban’s writings reflect his deep love towards nature, people and a culture that we can follow to live by. In Anirban’s words, the golden sunrise, the meadows, the snow-clad tall mountains, the never ending seas, the horizon, the smell of sand and soil, large monuments, the history, the people fascinate him and take him to a different world. And he gives his father all the credit who made him feel, cherish and experience these wonders of Mother Earth. His contributions to travel sites like Tripadvisor has a reader base of over forty thousand as well as in websites like Tripoto, He is an author for Happytrips.com, a Times Travel Magazine. His first poetry collection “Osheemer Daak” – Call of the endless is recently published and available in Amazon, Flipkart. One can follow him at www.facebook.com/anirbandeb or his website https://www.endlessvista.com. His email id is tripotomaniac@gmail.com